সৌদি-ইরান উত্তেজনার রহস্য ফাঁস করলেন ইমরান খান
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘদিন থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমনকি কিছু দিন আগে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছিল। এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই দেশের দীর্ঘ বছরের এই বৈরিতা নিরসনের উদ্যোগ নেন।
এই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইরান সফর করে করে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর পর তিনি সৌদি আরব সফরে গিয়ে বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে পাক প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন যে, সৌদি-ইরানের দীর্ঘদিনের এই অচলাবস্থার পেছনে আসলে কলকাঠি নাড়ছে দখলদার ইসরায়েল। আর সে বিষয়টি তিনি প্রকাশ্যে বলেও ফেলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্টের পেছনে প্রধানত দায়ী ইহুদিবাদী ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ইসরায়েল ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে, যাতে এ অঞ্চলে তাদের স্বার্থ রক্ষা করা যায়।
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামাবাদের চেষ্টার কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক এ অঞ্চলের সব দেশের জন্যই কল্যাণকর।
প্রসঙ্গত, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগের মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানোয় এ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ কারণে দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েল কোণঠাসা হয়ে আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরবসহ আরো কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন সংকটকে উপেক্ষা করে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এবং গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইরানভীতি ছড়ানোর মাধ্যমে ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক নষ্ট করে।